Popular Posts

আরেফিন শুভর দিনকাল












আজ আমরা শুনবো আরেফিন শুভর শুরুর দিনগুলোর কথা, অস্ত্রোপচারের পর বিছানায় শুয়ে আছেন শুভ শুটিং করতে গিয়ে কাঁধের হাড় স্থানচ্যুত হয়ে যায় এরই মধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত 'পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী' ছবিটি প্রসঙ্গে শুভ বললেন, "বিশ্বাস করুন, হাসপাতালের পুরো সময়টাই মন পড়েছিল বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে"
মুক্তির কয়েক দিন পর ছবিটি নতুন আলোচনার জন্ম দেয়। আলোচনার নায়ক বনে যান শুভ। কম উপস্থিতি, স্বকীয়তার বাইরে, কখনো নেতিবাচক, কখনো মানসিক প্রতিবন্ধীরূপে অভিনয় করে দর্শক-মন জয় করে ফেলেছেন
তার ভাষ্য, "নিজেকে ভাঙতে চেয়েছি। মনে হয়েছে খলনায়কের চরিত্রে আমি পারব। তাই করেছি। যখন কাজ করি, পাগলের মতো করি। পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী আমাকে চলচ্চিত্রের রেললাইনে উঠিয়ে দিয়েছে। ভালোবাসা জিন্দাবাদ লাইনের ওপর চলতে শুরু করিয়েছে।"
তবে ধীরে, আস্তে। নদীর চর রাতারাতি জেগে উঠে আবার রাতারাতি বিলীন হয়। বিলীন হওয়ার পথে হাঁটতে নারাজ শুভ। তিনি বললেন, "পরিবার শিখিয়েছে সফলতার পেছনে ছুটবে না। যোগ্যতা অর্জনের পেছনে তোমাকে দৌড়াতে হবে।"
চলচ্চিত্রে শুভর বয়স দুই বছর। মুক্তির মিছিলে ছায়া-ছবি, অগ্নি, মন বসেনাএই তিনটি ছবি। আরও পাঁচটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। চলচ্চিত্রে নিজের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে বললেন, "দেখুন, বিশেষ করে চলচ্চিত্রে অভিনয় করার জন্য শিল্পীর নৃত্য সম্পর্কে ধারণা, সুঠাম শরীর আর অভিনয়দক্ষতা প্রয়োজন। তা না হলে দর্শক টাকা দিয়ে কেন সিনেমা দেখবেন? নাচের প্রশিক্ষণ নিয়েছি। ব্যায়াম করে শরীর ঠিক রেখেছি।"

চলচ্চিত্রে সফল হওয়ার গল্প বলতে গিয়ে গল্পে ঢুকে যায় শুভর শুরুর দিনগুলোতে। গল্প বেশ লম্বা, সংগ্রামেরও। বছর পাঁচেক আগের কথা। ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা। উঠেছেন নবাবপুরে এক মেসে। দুপুরে খাবারের টাকা জোগাড় হয় তো রাতেরটা হয় না। সারা দিনে মিডিয়ায় কাজের জন্য এখানে ওখানে ধরনা। কোনো কিছুই হচ্ছিল না
মন খারাপ হয়ে গেল। ময়মনসিংহ ফিরে গেলাম। একদিন ঢাকা থেকে একটা ফোন। বিটিভির একটা ফ্যাশন শোতে অংশ নিতে হবে। কিন্তু ঢাকায় আসার টাকা নাই। বন্ধু আসিফ ইমতিয়াজ ২৫৭ টাকা জোগাড় করে দিল।"
ফ্যাশন শোর শুটিং হবে লালবাগে। মিরপুর থেকে হেঁটে হেঁটে লালবাগ। বিধ্বস্ত চেহারা দেখে পরিচালকের এক চোট বকাও খেতে হয়। টাকার অভাবে প্রতিদিনের রিহার্সালে যোগ দিতে হাঁটতে হয়েছে মাইলের পর মাইল। এখন তা ইতিহাস।ওই সংগ্রামই আজকের যতটুকু সফলতা আমার
একসময় গান গাইতেন শুভ। হলুদের এক অনুষ্ঠানে গেয়ে ৫০০ টাকা আয়ও করেছেন। এখন আর হয় না গান গাওয়া। কেন? 'অভিনয়ে ব্যস্ততা।' তবে রুটিন করে সব ধরনের সিনেমা দেখার পাশাপাশি ফোক, গজল শোনেন নিয়মিতই। বারী সিদ্দিকী, নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী, সঞ্জীব চৌধুরী, কবিতা কৃষ্ণ মূর্তির গান তাঁর অন্তরের কাছাকাছি। বললেন, "গান শুনি, গানের গল্পের আবেগকে ধরার চেষ্টা করি।"
এবার চুপ শুভ। তারপর নীরবতা ভেঙে দক্ষিণের জানালা দিয়ে তাকিয়ে বললেন, "এই যে আকাশের বিশালতা আমাকে সাহস জোগায়। আমি চলচ্চিত্রে যেকোনো চরিত্রে নিজেকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করি। চ্যালেঞ্জটা এমনই হওয়া উচিত!"




তথ্য ও ছবিঃ ইন্টারনেট
 
< >

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন