চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শাবনূরের বিয়ে
হয়েছে
কি
হয়নি,
গত
কয়েক
বছরে
এই
খবরটিই
নিশ্চিত করে
জানা
যায়নি। বিয়ের
এই
পাকা
সংবাদটির আগেই
এবার
শাবনূরের পরিবারের একটি
সূত্র
নিশ্চিত করেছে
তাঁর
মা
হওয়ার
খবর। সূত্র
জানিয়েছে, পুত্রসন্তানের মা
হতে
চলেছেন
শাবনূর!
আর
তাঁর
সন্তানের বাবার
নাম
অনিক
খান।
২০১০
সালে
বজলুর
রশীদ
চৌধুরীর 'বধূ
তুমি
কার'
ছবিতে
শাবনূরের বিপরীতে অভিনয়
করেছিলেন অনিক।
সেই
সূত্রে
তাঁদের
পরিচয়
এবং
বিয়ে।
পুরো
খবরটি
গোপন
রেখেছিলেন তাঁরা।
নাম
প্রকাশ
না
করার
শর্তে
শাবনূরের পরিবারের এক
সদস্য
জানান,
২০১১
সালের
৬
ডিসেম্বর অনিক
খানকে
বিয়ে
করেন
শাবনূর। বর্তমানে তিনি
অস্ট্রেলিয়ায় আছেন।
ডাক্তারি পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া
গেছে,
তাঁর
পুত্রসন্তান হবে।
শাবনূর
চেয়েছিলেন আগামী
১৭
ডিসেম্বর যেন
তাঁর
সন্তান
পৃথিবীর আলো
দেখে।
কারণ
ওই
দিন
তাঁরও
জন্মদিন। তাতে
মা-সন্তানের জন্মদিন একই তারিখে হবে।
কিন্তু
ডাক্তার সব
দেখেশুনে শাবনূরকে ডেলিভারির তারিখ
দিয়েছেন ২২
ডিসেম্বর।
আর
এ
কারণে
বেশ
কয়েকমাস ধরেই
শাবনূরের ছোট
বোন,
মাসহ
পরিবারের অনেকেই
অস্ট্রেলিয়া অবস্থান করছেন।
এ
বিষয়ে
অস্ট্রেলিয়ার একটি
বাংলা
পোর্টালেও খবর
বেরিয়েছে। সেখানে
শাবনূর
তার
অনাগত
সন্তানের জন্য
দোয়াও
চেয়েছেন। এদিকে
একাধিক
ইন্টারভিউতে শাবনূর
তার
বিয়ের
প্রশ্নে 'হ্যাঁ'
বা
'না'
কোনো
জবাবই
দেননি।
তবে
এতদিন
পর
অনীকের
সাথে
তার
এই
৩
বছরের
সংসার
ও
সন্তানের খবর
প্রকাশ
পাওয়ায়
অনীক
তার
বন্ধু-বান্ধবকে আনুষ্ঠানিকভাবেই
জানাচ্ছেন সবকিছু।
মা
হওয়ার
‘সুখবর’
স্বীকার করেছেন
শাবনূর, স্বীকার করেছেন
তাঁর
পরিবারের অন্যরাও, কিন্তু
দেশের
জনপ্রিয় এই
অভিনেত্রী তাঁর
বিয়ের
খবরটি
এতদিন
চেপে
ছিলেন,কিন্ত কেন? এমন প্রশ্নের অবশ্য সরাসরি জবাব পাওয়া যায়নি। তিনি এখন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অবস্থান করছেন,
এছাড়া
বিভিন্ন বিষয়ে
নিজের
মনোভাব
প্রকাশ
করেছেন
শাবনূর।
শাবনূর
বলেন,
রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে
চারিদিকে যে
অবস্থা
তা
খুব
বিচলিত
করে
তাকে,
এ বিষয়ে চিন্তিত তিনি।
মা
হওয়ার
অনুভূতি সম্পর্কে তিনি
জানান,
খুবই
মজা
লাগছে।
এটা
আসলে
একেবারেই অন্যরকম অনুভূতি। যা
ভাষায়
প্রকাশ
করার
মতো
নয়।
একেবারেই অন্যরকম জীবন।
আমার
বোনেরও
বাচ্চা
হবে।
সবমিলিয়ে পুরো
পরিবারজুড়ে আনন্দের বন্যা
বইছে।
চিকিত্সকের কথামতো
এ
মাসের
শেষ
সপ্তাহে সন্তানের মুখ
দেখার
অপেক্ষায় আছি।
সবাই
আমার
অনাগত
সন্তানের জন্য
দোয়া
করবেন।
বিয়ের
খবর
গোপন
রাখার
বিষয়ে
শাবনূর
বলেন,
আমি
কখনোই
কোনো
কিছু
বলিনি।
বিয়ে
নিয়ে
শুধু
এটুকুই
বলেছিলাম, যখন
হবে
তখন
বলব।
এখন
যেহেতু
করেছি
বললামই
তো।
বিয়ের
পর
আমি
অস্ট্রেলিয়ার চলে
আসি।
মাঝখানে আবার
দেশে
গেলে
বিয়ের
ব্যাপারে সেইভাবে কথাও
হয়নি।
আমি
ভেবেছিলাম বড়
করে
যখন
কোনো
অনুষ্ঠান করব
তখনই
বিষয়টি
জানাব।
আসলে
বিয়ে
তো
এমনিতেও করতে
হবে
ওমনিতেও করতে
হবে,
তাই
কিছুটা
চুপিসারে তা
করে
ফেললাম।
বিয়ের
পর
বেড়াতে
যাওয়ার
প্রসঙ্গে তিনি
জানান,
আসলে
বেড়াতে
যাওয়ার
সময়
হয়নি।
এখন
তো
গেলে
সন্তানকে নিয়েই
হানিমুনে যেতে
হবে
।
হাহা
হা
...এবার আশা যাক শাবনূরের স্বামীর
বিষয়ে...
অনীক
মাহমুদ
সঙ্গে
পরিচয়টা কীভাবে
এ
নিয়ে
শাবনূর
বলেন,
ছবি
করতে
গিয়েই
পরিচয়।
এরপর
আমরা
দুজন
কথাবার্তা বলতাম।
নিজেদের মধ্যে
বন্ধুত্ব গড়ে
উঠে।
তারপর
অনিকের
বাবা-মার সঙ্গে আমার
কয়েকবার দেখা-সাক্ষাৎ হয়। তারপর আসলে
আমাদের
সম্পর্কটা বিয়ে
পর্যন্ত গড়ায়।
অনীকের
মায়ের
বাড়ি
যশোরে।
আর
বাবার
বাড়ি
ঢাকার
গাজীপুরে। অনীক
আমার
অনেক
ভালো
একজন
বন্ধু।
স্বামী
হিসেবে
ওর
মতোই
বন্ধুকে প্রত্যাশা করেছিলাম। আমি
অনেক
খুশি।
স্বামীর পেশা
সম্পর্কে শাবনূর
জানান,
অনীক
ইউডা
থেকে
কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা শেষ
করেছে।
এখন
সে
ছবি
করার
চেষ্টা
করছে।
ক্যারিয়ার প্রসঙ্গে শাবনূর
বলেন,
চলচ্চিত্র নিয়ে
আমার
নিজের
একটা
চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। সামনে
হয়তো
তা
নিয়ে
সিরিয়াসলি ভাবব।
আগে
ইচ্ছে
ছিল
ভবিষ্যতে চলচ্চিত্র পরিচালনা করব।
সে
ব্যাপারে কিছু
প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম। ইচ্ছে
আছে
এবার
দেশের
ফিরেই
চলচ্চিত্র পরিচালনার বিষয়টি
নিয়ে
ভালোভাবে ভাবব।
আমি
যখন
কাজ
শুরু
করি
তখনো
ভাবিনি
শাবনূর
হব।
মন
দিয়ে
কাজ
করে
গেছি।
আর
তাই
আমি
কখনো
মনে
করি
না
ভেবে-চিন্তে কিছু করা
যায়।
চলচ্চিত্র নিয়ে
অনেক
কিছুই
করার
ইচ্ছে
আছে।
অনেক
চিন্তা
আছে।
আমি
চলচ্চিত্রে নির্মাতা হিসেবে
আত্মপ্রকাশ করার
স্বপ্ন
দেখি।
উল্লেখ্য,
নব্বই দশকের শুরুতে এহতেশাম পরিচালিত ‘চাঁদনী রাতে’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন শাবনূর, তারপর
জুটি বাঁধেন প্রয়াত সালমান শাহের সঙ্গে, আর
তাতেই সফলতা আসে তার, কিন্তু হঠাৎ সালমানের চলে যাওয়াতে শাবনূরের ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়ে, সেই
সংকট কাটিয়ে ওঠেন রিয়াজের সঙ্গে জুটি বেঁধে, পাশাপাশি
ফেরদৌস, মান্না এমন কি হালের নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করেও সফল হন তিনি।
নিজেকে
নিয়ে
গুজব
ছড়ানোর
বিষয়ে
তিনি
বলেন,
গুজবকে
খুব
উপভোগ
করি।
এহতেশাম দাদুর
হাত
ধরে
চলচ্চিত্রে আসার
সময়ও
আমাকে
নিয়ে
নানা
ধরনের
গুজব
হতো।
এখনো
চলছে।
বলতে
পারেন
গুজব
আমার
পিছু
ছাড়েনি। প্রথমদিকে এসব
গুজব
আমাকে
বেশ
ভাবাত।
পরে
আমি
বিষয়গুলো নিয়ে
এহতেশাম দাদুর
সঙ্গে
কথা
বলতাম।
তিনি
আমাকে
বলতেন
তোমাকে
নিয়ে
সবাই
ভাবে
তাই
গুজব
উঠছে।
আর
যেদিন
তোমার
কোনো
অবস্থান থাকবে
না
সেদিন
তোমাকে
নিয়ে
কেউ
কোনো
গুজব
ছড়াবে
না।
অস্ট্রেলিয়ায় থিতু
হওয়ার
ভাবনা
প্রসঙ্গে তিনি জানান,
আমার
ভাই-বোনরা অস্ট্রেলিয়াতে পড়াশোনা করেছে।
তারা
এখন
সেখানকার নাগরিক। পরিবারের সদস্যদের কারণেই
আমাকে
বছরের
তিন
মাস
অস্ট্রেলিয়াতে থাকতে
হয়।
কয়েক
বছর
ধরেই
গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে
আমি
শুটিংয়ের কোনো
শিডিউল
রাখি
না।
ওই
সময়টা
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই
থাকি।
আর
পরিচালক থেকে
শুরু
করে
সবাই
এটা
জানেনও। পৃথিবীর অনেক
দেশে
ঘুরেছি। কিন্তু
বাংলাদেশের মতো
এত
শান্তি
আর
কোথাও
পাইনি।
আমি
এ
দেশেরই
নাগরিক। এই
দেশ
আমাকে
অনেক
কিছু
দিয়েছে। আজকে
আমি
যে
শাবনূর
হয়েছি
তা
কিন্তু
বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসার কারণেই
আর
তাই
অস্ট্রেলিয়ায় থিতু
হওয়ার
ব্যাপারে আমার
নিজের
কোনো
ইচ্ছে
নেই।
বাংলাদেশেই থাকতে চান তিনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন