২০০৯ সালে বিখ্যাত পলিচালক গৌতম ঘোষের কালবেলা
ছবির মাধ্যমে আলোচনায় আসেন কলকাতার মেয়ে পাউলি দাম। জন্ম ৪ঠা অক্টোবর, ১৯৮০ সালে,
পড়াশুনা শুরু লরেটো স্কুল,কলকাতায়, পরবর্তীতে বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে রসায়নে অনার্স
এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি
লাভ করেন।
ছাত্রী হিসেবে বেশ মেধাবী ছিলেন, ছিলেন অভিনয়েও
পারদর্শী। তারই ধারাবাহিকতায় রিমঝিম মিত্রকে সরিয়ে “তিথির অতিথি” নামক সিরিয়াল এর
মাধ্যমে রঙিন দুনিয়ায় পা রাখেন পাউলি। ২০০৬ সালে তিনি তার ক্যারিয়ারের প্রথম
চলচিত্রে অভিনয় করেন, নাম অগ্নিপরীক্ষা। পরবর্তীতে “সব চরিত্র কাল্পনিক” “থানা
থেকে আসছি”, “কাগজের বউ”, “কালবেলা”, “বংশীওয়ালা”, “তুলকালাম”, “অ্যাক্টর অ্যালাইভ”, “মনের মানুষ”
ইত্যাদির মাধ্যমে তিনি নিজের অভিনয় দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন।
ঋতুপর্ণ ঘোষের “সব চরিত্র কাল্পনিক” এ তিনি আরেক
বাঙালী হার্টথ্রব বিপাশা বসুর সাথে অনবদ্য অভিনয় করেন। বাংলাদেশ ভারতের যৌথ
প্রযোজনার ছবি “মনের মানুষ” তেও তার অভিনয় ব্যাপক দর্শক জনপ্রিয়তা পায়। তিনি ২০০৯
সালে সেরা বাঙালী নিউফেস হিসেবে মনোনীত হন।
তবে, ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি “ ছত্রাক” এ
তিনি সীমাহীন নগ্নতার দায়ে ব্যাপক সমালোচিত হন। তবে তিনি তার এই অভিনয়কে সাহসী
অভিনয় নামে আখ্যায়িত করেছেন। আবেদনময়ী, খোলামেলা তার এ সাহসী রূপের বহিঃপ্রকাশ “হেইট
স্টোরি” তেও বর্তমান।
২০ এপ্রিল ২০১২ এ মুক্তিপ্রাপ্ত এ ছবিতে তিনি
ব্যাপক আবেদনময়ী এক পতিতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এই ছবির মাধ্যমে তিনি বলিউড
কাঁপাতে চলেছেন, যার ধারাবাহিকতায় ইলাতো স্পিনেলী তার নতুন ছবি “চোলী কে পিছে” তে
এক উপজাতি মহিলার চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন।
বোঝা যাচ্ছে কলকাতা কাঁপিয়ে পাউলি দাম এবার বলিউড
কাঁপাতে চলেছেন।
দেখা যাক, এই বঙ্গললনা বলিউডকে কোন সুরে নাচান।
তথ্য ও ছবিঃ ইন্টারনেট
পাউলি দাম যে এত শিক্ষিত তা তো জানতাম না! যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে!!
উত্তরমুছুন